ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বাংলালিংক মোবাইল কোম্পানী টাওয়ারের জেনারেটর রুমের ভিতর থেকে ১০৫ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার।
বৃহস্পতিবার(৭মার্চ)মধ্যরাতে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো. রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর মার্কেটের পেছনে বাংলালিংক মোবাইল টাওয়ারের পরিত্যক্ত রুমের ভিতর থেকে এসব গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।পাচার এবং ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এসব গাজা সেখানে রেখেছিলো মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় কসবা থানা উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বাদি হয়ে মাদক আইনে পলাতক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামালপুর গ্রামে বাংলালিংক মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারের একচালা জেনারেটর রুমের ভিতর পাচার ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান মাদক মজুদ করে রেখেছে মাদক ব্যবসায়ীরা এমন গোপন সংবাদে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো. রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক কামাল হোসেন সংগীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এসময় ৫টি বড় পাটের বস্তায় রক্ষিত স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় ১০৫টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেই পলাতক মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা গ্রামের মৃত শিরু মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন (৪১) ও কামালপুর গ্রামের সিংগাপুর মার্কেটের পাশের বাড়ির মৃত সুলতান সরকারের ছেলে সোহাগ মিয়া প্রকাশ ডাকাত সোহাগ।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো. রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন,উপজেলার কামালপুর গ্রামে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা আছে এমন গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সংবাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া.কম সংবাদে সারাক্ষণ।
সুমন খন্দকার।
Leave a Reply